Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ নভেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট

 

 

পটভূমিঃ

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট দেশে রেশম সেক্টরে উন্নয়নের লক্ষ্যে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির একমাত্র প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ৩ জানুয়ারি ১৯৬২ সালে রেশম সেক্টরে কারিগরি সহায়তা প্রদান করার জন্য সিল্ক কাম ল্যাক রিসার্চ ইনস্টিটিউট এবং সিল্ক টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট নামে শিল্প অধিদপ্তরের অধীনে রাজশাহী শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউটকে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার অধীনে নেয়া হলে ১৯৭৪ সালে ইনস্টিটিউট দুটিকে একীভূত করে সিল্ক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামকরণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড প্রতিষ্ঠিত হলে এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ রেশম বোর্ডের আওতাধীনে আসে এবং বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারেগপ্রই) নামে পুন: নামকরণ করা হয়। ২০০৩ সালে ২৫ নং আইন বলে বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড থেকে পৃথক করে সরাসরি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়। ২০১৩ সালে ১৩ নং আইন বলে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড, বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ সিল্ক ফাউন্ডেশন কে একীভূত করে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হয়।   

            বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল আইন, ২০১২ মোতাবেক কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় National Agricultural Research System (NARS)- এর সদস্যভূক্ত হয়েছে।  

বাংলাদেশ রেশম গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ৫টি গবেষণা শাখা যথা: তুঁতচাষ, রেশমকীট, সেরি-রসায়ন, সেরি-রোগতত্ত্ব, রেশম প্রযুক্তি শাখা ও একটি প্রশিক্ষণ শাখা রয়েছে। এছাড়াও বারেগপ্রই- এর নিয়ন্ত্রণাধীন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার চন্দ্রঘোণায় একটি আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র (আরেগকে)এবং পঞ্চগড় জেলার সাকোয়ায় একটি জার্মপ্লাজম মেইনটেন্যান্স সেন্টার (জিএমসি) নামক ২ টি আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।

 

রূপকল্প (Vision)

 

 

 

 

রেশম প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গতিশীল গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

 

অভিলক্ষ্য (Mission)

 

 

 

 

 

            লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে রেশম শিল্পকে উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে উন্নীতকরণ।

 

উদ্দেশ্য (Objectives)

 

 

 

  1. দেশের আবহাওয়া উপযোগী রেশমচাষের  টেকসই প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তর।
  2. রেশমচাষে নিয়োজিত সরকারি/বেসরকারি  ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে কারিগরি সহায়তা প্রদান।
  3.  

কার্যক্রম (Functions)

প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করে দেশে দরিদ্রতা হ্রাসকরণসহ রেশম শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সহায়তা প্রদান।

বারেগপ্রই, রাজশাহী:

  1. তুঁতের জার্মপ্লাজম সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও উচ্চ ফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবন।
  2. তুঁতচাষ প্রযুক্তি, তুঁতগাছের রোগবালাই ও কীটশত্রু দমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  3. মাটি ও তুঁতপাতার গুণগতমান পরীক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যমান ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তুঁতপাতার গুণগতমান উন্নয়ন।
  4. রেশমকীটের জাত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং আবহাওয়া সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল, রোগ প্রতিরোধ সম্পন্ন উন্নত বহুচক্রী ও দ্বিচক্রী জাত উদ্ভাবন।
  5. গুনগত মানের রেশমকীটের ডিম উৎপাদনের প্রযুক্তি, উন্নত পলুপালন ঘর, পলুপালন সামগ্রী ও পলুপালন প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  6. রেশমকীটের রোগবালাই ও কীটশত্রু দমনের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের বিশোধক ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  7. পোস্ট কোকুন টেকনোলজি ও রিলিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  8. দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদী কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান।
  9. লাইব্রেরিতে বিভিন্ন শিক্ষণীয় বিষয়ের বই, সাময়িকী, জার্নাল, লিফলেট, পত্রিকা সংগ্রহ, সংরক্ষন ও প্রকাশনা।

 

আঞ্চলিক রেশম গবেষণা কেন্দ্র (আরেগকে), চন্দ্রঘোনা, রাঙ্গামাটি র্পাবত্য জেলা:

  1. বারেগপ্রই এর বিকল্প জার্মপ্লাজম ব্যাংক হিসেবে তুঁত ও রেশমকীটের জাত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
  2. পাহাড়ী পরিবেশ উপযোগী তুঁত ও রেশমকীটের জাত ও রেশমচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  3. পাহাড়ী অঞ্চলে রেশমচাষে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে চাষীপর্যায়ে ও টিওটি প্রশিক্ষণ প্রদান।

 

জার্মপ্লাজম মেইটেন্যান্স সেন্টার (জিএমসি), সাকোয়া, পঞ্চগড়:

  1. বারেগপ্রই এর বিকল্প জার্মপ্লাজম ব্যাংক হিসেবে তুঁত ও রেশমকীটের জাত সংগ্রহ ও সংরক্ষণ।
  2. আবহাওয়া উপযোগী তুঁত ও রেশমকীটের জাত ও রেশমচাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন।
  3. রেশমকীটের F1 বানিজ্যিক ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যে P-1নার্সারীতে দ্বিচক্রী জাতের ডিম বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের চাহিদা সাপেক্ষে সরবরাহকরণ।

জনবল

ধরণ

অনুমোদিত পদ

কর্মরত জনবল

শূন্যপদ

পরিচালক (সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত)

 ০১

০১

০০

গ্রেড-৩

গ্রেড-৪

গ্রেড-৫

গ্রেড-৬

১২

১১

গ্রেড-৯

২২

০৯

১৩

গ্রেড-১০

০৮

০৫

০৩

গ্রেড-১১

১৬

১২

গ্রেড-১৩

গ্রেড-১৪

গ্রেড-১৬

২৪

১৭

গ্রেড-১৭

গ্রেড-১৮

১৩

গ্রেড-২০

১৫

১২

আউট সোর্সিং

সর্বমোট =

১২৭

৬১

৬৬

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

. আওতাধীন আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রসমূহ:

ক. রিজিওনাল সেরিকালচার রিসার্চ সেন্টার (আরএসআরসি), চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। 

খ.      জার্মপ্লাজম মেইনটিন্যান্স সেন্টার (জিএমসি),

সাকোয়া, বোদা, পঞ্চগড়।  

 

  

 

তুঁতজাতের জার্মপ্লাজম রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম

বারেগপ্রই, রাজশাহী:

  1. জার্মপ্লাজম ব্যাংকে তুঁতজাত ৭০ থেকে ৭৩ টিতে উন্নীত হয়েছে।  
  2. বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৪ টি উচ্চফলনশীল তুঁতের জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তুঁতপাতার উৎপাদন বছরে হেক্টর প্রতি ৩৭.০০-৪০.০০ মেঃটন এর স্থলে ৪০.০০-৪৭.০০ মেঃটন এ উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে।  

উচ্চফলনশীল তুঁতজাত উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম

দেশের আবহাওয়া উপযোগী তুঁতচাষ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।

  1. তুঁতগাছের রোগ-বালাই দমনে প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
  2. তুঁতচাষে সাথী ফসলের চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং মাঠ পর্যায়ে ব্যবহারের ফলে রেশম চাষের সাথে সম্পৃক্ত চাষীদের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
  3. অম্লীয় ও ক্ষারীয় মাটি সংশোধনের মাধ্যমে তুঁতচাষ উপযোগী করার প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে।
  4. উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল তুঁতপাতার পুষ্টিমান নির্ধারণের মাধ্যমে চাকী ও বয়স্ক পলুর জন্য উপযুক্ত তুঁতজাত এবং চাষ পদ্ধতি নির্বাচন করা হয়েছে।
  5. জার্মপ্লাজম ব্যাংকে রেশমকীটের জাত ৯৭ হতে ১০১ টিতে উন্নীত হয়েছে।